1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক কেউ ছিন্ন করতে পারবে না: অমিত শাহ

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১০ মে, ২০২৩
  • ৮১ বার পঠিত

 

ডেস্ক রিপোট:ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক অনেক গভীর। কেবল তাই নয়, আমাদের সংস্কৃতি, কলা, আমাদের ভাষা, আমাদের জীবন পরম্পরার ক্ষেত্রে সাদৃশ্য রয়েছে। হাজার বছর ধরে একই সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে চলা দুই রাষ্ট্রের মধ্যেকার সম্পর্ক এখনও আবহমান। বাংলাদেশের জন্ম থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে ভারত বহু গুরুত্বপূর্ণ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রচনা করেছে। তাই বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক কেউ ছিন্ন করতে পারবে না।’

মঙ্গলবার (৯ মে) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পেট্রাপোল স্থল সীমান্তে অনুষ্ঠিত ‘ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া’ (এলপিআই) ও বিএসএফের একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসে এই মন্তব্য করেছেন অমিত শাহ।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বিএসএফের অবদানের কথা স্মরণ করে শাহ আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে বিএসএফ’এর বড় ভূমিকা ছিল। এ কারণে বাংলাদেশ এবং ভারত দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং উষ্ণতার সম্পর্ক এখনও বিরাজমান। আজকের এই স্থান থেকে সেই সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরো নতুন গতি আসবে।’

সীমান্তে বিএসএফের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘বিএসএফ ছাড়া ভারতের স্থলসীমা সুরক্ষিত থাকতে পারে না। এই কারণে বিএসএফের প্রত্যেকটি জাওয়ানকে আমি বলি, যখন বিএসএফের জওয়ানরা সীমান্তে পাহারা দেয়, তখন দেশের সাধারণ মানুষের একেবারেই চিন্তা করার কোনো কারণ নেই।’

অমিত শাহ ছাড়াও এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এলপিআই) চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র, বিএসএফ’ এর ডিজি সুজয় লাল থাউসেন সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রমূখ।

এলপিআই’এর গুরুত্বের দিকটি তুলে ধরে শাহ বলেন, ‘ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি (এলপিআই) কেবলমাত্র সীমান্তে ভারতের অর্থনীতিকেই গতি দিচ্ছে তাই নয়, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের মৈত্রী সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রয়েছে এলপিআই’এর। নেপাল, ভুটান বা বাংলাদেশসহ যে দেশই হোক না কেন প্রতিটি দেশের সঙ্গে এলপিআই একটি রাষ্ট্রদূতের মত কাজ করে চলেছে।’

বিগত পাঁচ বছর ধরে এলপিআই উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, সে কথাও এদিন তুলে ধরেন মন্ত্রী।

একটি পরিসংখ্যান দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৬-১৭ সালে দেশের স্থলবন্দরগুলোর মাধ্যমে যে ১৮ হাজার কোটি রুপি স্থল বাণিজ্য হয়েছে, তা আজ বেড়ে ৩০ হাজার কোটি রুপি ছাড়িয়েছে। আর এ থেকেই পরিষ্কার এলপিআই কত ভালো কাজ করে যাচ্ছে। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে এলপিআই দিয়ে ২০ লাখ যাত্রী চলাচল করেছে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পেট্রাপোল স্থলবন্দরে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল উদ্বোধনের ফলে এখান দিয়েই প্রতিদিন ১১ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়ার সুবিধা হয়েছে। আর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এটা একটি খুব ভালো দিক।’

২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সীমান্ত অবকাঠামোয় এই সরকার নজর দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সীমান্ত সুরক্ষার ক্ষেত্রে ভারতের নীতি স্পষ্ট। সীমান্তবর্তী এলাকায় আমরা খুব শক্তিশালী অবকাঠামো চাই, সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে দেশের বাকি গ্রামগুলোর মত সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ও কানেক্টিভিটি বাড়ানোর কাজ চলছে।’

তার অভিমত ‘দেশের সীমান্ত নীতিতে বাণিজ্যের বড় ভূমিকা রয়েছে। সাতটি প্রতিবেশী দেশের সাথে ভারতের প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ স্থলসীমা রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার প্রত্যেকটি দেশের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুদের ক্ষেত্রে ক্ষমতায় আসার পরই নরেন্দ্র মোদীর সরকার নতুন নীতি বানিয়েছে। এ সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন ‘আগে সীমান্তে অবকাঠামো, কানেক্টিভিটি ছিল না। পিপিল-টু-পিপিল কানেক্টিভিটি কম ছিল। কিন্তু আজ সীমান্তে উন্নয়ন হয়েছে, কানেক্টিভিটি বেড়েছে বাণিজ্য বেড়েছে, পিপিল-টু-পিপিল কানেক্টিভিটি বেড়েছে। সীমান্ত উন্নয়নের ফলে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিও আজ সামনে সারিতে চলে এসেছে।’

পেট্রাপোল স্থল সীমান্তের সমস্যার কথা তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান ‘এই স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ ট্রাক যাতায়াত করে। এই কারণে প্রায়ই ভিড় হত, দেরী হত, নানা রকম সমস্যা লেগেই থাকতো কিন্তু দ্বিতীয় কারগো টার্মিনাল তৈরির ফলে আমার বিশ্বাস খুব ভালো ভাবেই এই সমস্যার সমাধান হবে।’

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..